গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে প্রায় প্রত্যেক মা-ই বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া (nausea and vomiting) সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। কারো ক্ষেত্রে দিনে,কারো ক্ষেত্রে রাতে, কারো কারো ক্ষেত্রে সারাদিনই এই অস্বস্তিকর সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।
অনেকেরই নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্ম ব্যাহত হয় এই সমস্যার জন্যে। আশার কথা হচ্ছে এর কারণে বাচ্চার তেমন কোন ক্ষতি হয়না এবং ১৬- ২০ সপ্তাহের মধ্যেই এই বমিভাব এবং বমির সমস্যা অনেকাংশেই কমে আসে।
তবে এই বমির সমস্যা মাঝে মাঝে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে,যা Hyperemesis Gravidarum নামে পরিচিত।এই সময় রোগীর মারাত্নক পানিশূন্যতা এবং দূর্বলতা দেখা দিতে পারে এবং হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় প্রস্রাবের ইনফেকশানের জন্যেও মায়েরা এই বমির সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন
১)যদি ৮ ঘন্টার বেশি প্রস্রাব না হয়
২)রোগী যদি খুব দূর্বল বোধ করে কিংবা অজ্ঞান হয়ে যায়।
৩)পেটে ব্যথা থাকলে
৪)জ্বর থাকলে
৫)বমির সাথে রক্ত গেলে
৬)ওজন কমে গেলে
বমির পাশাপাশি এসব সমস্যা দেখা দিলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে।
প্রতিকার
ডাক্তারের পরামর্শমত ওষুধ সেবনের পাশাপাশি নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মেনে চললে এই সমস্যা কিছুটা এড়ানো যেতে পারে:
১)পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়া
২)যেসব খাবার এ অস্বস্তি হয়,তা এড়িয়ে চলা
৩)সকালে বিস্কুট বা শুকনো খাবার গ্রহণ
৪)অল্প পরিমাণে বারে বারে খাওয়া
৫)বেশি পরিমাণে পানি বা পানিজাতীয় খাদ্য গ্রহণ।