ডাকাউ (Dachau) কন্সেনট্রেশন ক্যাম্পে একটি পরীক্ষা একজন অনিচ্ছুক ব্যক্তিকে হিম শীতল পানিতে নিমজ্জিত করে পরীক্ষা। এমন সব উদাহরণ অনেক। অনেক পরীক্ষাধীন মানুষের উপর জার্মানরা পরীক্ষা চালায় মেডিক্যাল আর মিলটারি গবেষণার স্বার্থে।
১। যমজ শিশুদের উপর পরীক্ষা চালানো হয় ১৫০০ জন টুইনদের উপর
২। হেড ইনজুরি পরীক্ষা। একটি বালককে চেয়ারের সাথে বেধে রাখা। একটি হাতুড়ি তার মাথায় ছন্দময় গতিতে আঘাত করছে
৩। বিষ, রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগে পরীক্ষা। রাসায়নিক অস্ত্র, ইমিউনাইজেশন পরীক্ষা, সমুদ্র জল পরীক্ষা…অন্ত নাই
তারা মানুষের গায়ে আগুন লাগিয়েছে , ইলেকট্রিক শক দিয়েছে , রক্ত মোক্ষণ করে করে শেষ সীমায় এনেছে। তাদের ভ্রষ্টাচারের অন্ত নাই। এসব অপরাধের সবচেয়ে বড় কুকর্মকারী হল জোসেফ মেঙ্গেলে (The angel of death)।

যমজদের প্রতি তার আসক্তি ছিল এক বিকৃত রুচির পরিচায়ক। আর কারাবন্দীরা ট্রেনে এসে আসা মাত্র পরীক্ষার বস্তু হিসাবে নেয়ার এক উৎফুল্ল ভাব তার ছিল। শিশু আর অন্য যারা অনুপযুক্ত এরা ট্রেনে এসে পৌঁছানোর পর এদের বাদ দিত মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তির জন্য। যমজ শিশুদের সে আলাদা করে নিত। এরপর আরেক ধর্ষকামী মারগারেট দ্রেসেলের সহায়তায় শুরু করে পরবর্তী কাজ। মিউজিক বাজতে থাকতে আর এই দুই শয়তান এর পর মহা আনন্দে কটূক্তি করে বন্দিদের আর প্রস্তুত করতে থাকে পরীক্ষার জন্য।
যুদ্ধ শেষের পর এসব অত্যাচারিতদের পক্ষে বিচারের ব্যবস্থা হল । দ্রেসেলকে ধরা হল আর রাশিয়ানরা তাকে ফাঁসিতে ঝোলাল। মেঙ্গেলে পালাল। সে পূর্ণ জীবন শেষে ব্রাজিলে পানিতে ডুবে মরল। তার ছেলে বলেছিল এমন কুকর্মের জন্য তার মনে কখনো অনুতাপ আসেনি।
নুরেমবারগ ট্রায়াল কেবল এরকম মেডিক্যাল পরীক্ষানিরীক্ষার বিবেচনা করেছে তাই নয়, হয়েছিল গণহত্যা আর অন্যান্য অপরাধ সেসব বিষয় ছিল বিচারের অধীন।
মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে এখনও হয় পরীক্ষা আর অনুন্নত দেশের মানুষ হয় ভিকটিম ।