কখন আমরা বলি প্রি-ডায়াবেটিস? যখন দেখি রক্তের গ্লুকোজ স্বাভাবিক মানের চেয়ে বেশি কিন্তু এত বেশি নয় যে ডায়াবেটিস বলা যেতে পারে। রক্তের গ্লুকোজ ১০০-১২৫ মিলিগ্রাম/ ডেসিলিটার আর এচবিএ১সি ৫.৭ থেকে ৬.৪ শতাংশ।
তেমন কোনও উপসর্গ থাকেনা
তবে এই পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করলে ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এজন্য করতে পারেন এরবিক ব্যায়াম। হাঁটা, সাইকেল চালান, সাঁতার কাটা, ভার উত্তোলন। এধরনের শরীরচর্চা প্রিডায়াবেটিস বন্ধ করতে পারে। যদি উদ্দেশ্য থাকে একে খণ্ডানো তাহলে ব্যায়াম হবে ত্রিমুখী।
প্রতি হপ্তায় ১৫০ মিনিট এরবিক ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম রক্তের গ্লুকোজ মান ঠিক রাখে, ঠিক রাখে রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড মান, উন্নত করে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা আর কমায় হৃদরোগ আর স্ট্রোকের ঝুঁকি। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, দ্রুত হাঁটা, জগিং সব উত্তম। প্রতি হপ্তায় ১৫০ মিনিট (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল সিডিসি)
বেশি বসে থাকা বারণ
দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয়তা ভাল নয়। প্রতি আধ ঘণ্টায় তিন মিনিট হাল্কা শরীরচর্চা (আমেরিকান ডায়েবেটিক সমিতি) পা তুললেন, কোমর ঘোরালেন, পায়ের আঙুল তুললেন বা হেঁটে হেঁটে ফোনে কথা বললেন, ভার উত্তোলন। রেজিস্ট্যান্স ব্যায়াম রক্তের গ্লুকোজ ঠিক রাখে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। ইলাস্টিক ব্যান্ড, ফ্রি ওয়েট, ওয়েট মেশিন, উঠ বস করতে পারেন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এমন ব্যায়াম করবেন।