woman flower PMS

পিরিয়ড পূর্বকালীন সমস্যা: প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম (PMS)

প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম (Premenstrual syndrome, PMS) কী?

একজন নারীর জীবনে প্রজননকালীন সময়কাল মোটামুটি ১১-১৩ বছর বয়সে শুরু হয়ে ৪৫-৫৫ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। এই সময়টিতে একজন নারীর প্রতিমাসে পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। প্রতিমাসের পিরিয়ডের কয়েকদিন আগে থেকেই অনেক নারী কিছু সমস্যার মুখোমুখি হন। এটা শারীরিক বা মানসিক কিংবা দুটোই হতে পারে। এই বিষয়টিকে প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম (Premenstrual syndrome, PMS) বলা হয়।

কী কী সমস্যা দেখা দেয়?

পিরিয়ডের ৭-১০ দিন আগে থেকেই PMS দেখা দেয়। যেমন:
১) খুব দুশ্চিন্তা অনুভব হওয়া
২) ডিপ্রেশন বেড়ে যাওয়া
৩) রাগ বেড়ে যাওয়া
৪) সাধারণ কাজকর্মে অনীহা
৫) দুর্বল লাগা
৬) ক্ষুধার ধরন বদলে যাওয়া
৭) অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ঘুমপাওয়া
৮)ইমোশনালি আনস্টেবল ফিল করা যেমন খিটখিটে মেজাজ

কিছু শারিরীক সমস্যা ও দেখা যায়। যেমন:
৯) মাথা ব্যাথা
১০) পেট ফুলে যাওয়া
১১) পেটে ক্ষনে ক্ষনে ব্যাথা অনুভব করা ইত্যাদি।

প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোমের কারণ

PMS এর কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না তবে এটাত নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে কিছু নিউরোট্রান্সমিটার এর তারতম্য এসময় হয়।যেমন এইসময় সেরোটোনিন লেভেল কম থাকে।পিরিয়ডক্রের মাঝপথে শরীরে ইসট্রোজেন ও প্রোজেস্ট্রেরন লেভেল বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আরো অনেক থিওরি আছে তবে কোনটাই একেবারেই স্বতসিদ্ধ নয়।

PMS রোগীদের থাইরয়েড সমস্যা বা মানসিক সমস্যার থাকলে ইতিহাস ভালো মতন জেনে নিতে হবে।

চিকিৎসা

কমবেশি PMS সমস্যায় অনেক নারীই ভুগেন। Mild symptoms এ কোন চিকিৎসার দরকার পড়ে না। সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসক কিছু ঔষধ সেবন করতে দিতে পারেন। তাই প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম আক্রান্ত নারীকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

পিরিয়ড নারীর জীবনে একটি অবশ্যম্ভাবী অধ্যায়। PMS সমস্যাও তাই খুবই স্বাভাবিক। এই সময় নারীদের মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়ার জন্য পরিবার ও কাছের মানুষকে পাশে প্রয়োজন। তাহলে অনেকটা সহজতর হবে এই সমস্যাটা মোকাবিলা করা।

Dr Marjana Akter MBBS

FCPS Part 2 Trainee, Department of Obstetrics and Gynecology
Chittagong Medical College Hospital

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.