শুনুন নতুন এক ভাইরাসের কথা: ভয়ানক ছোঁয়াচে, এখনও সীমাবদ্ধ খরগোশে

আমেরিকায় খরগোশদের সাবাড় করছে নতুন এক ভয়ানক ভাইরাসের আবির্ভাব। দক্ষিণপূর্ব আমেরিকায় ৭টি স্টেটে বন্য আর গৃহপালিত খরগোশ মৃত্যুবরন করছে। গবেষকরা বলছেন এতে মৃত্যুহার ৯০ শতাংশ। এই বিরল প্রাদুর্ভাবের মূলে আছে এক ভয়ানক ছোঁয়াচে রোগের নাম “ভয়াল ইবোলা”। বিজ্ঞানীরা বলেন রেবিট হেমরেজিক ডিজিজ ভাইরাস (RHDV2)। ইবোলার সাথে খরগোশ ভাইরাসের সম্পর্ক নাই। তবে এতে ঘটে রক্তক্ষরণ, দে যন্ত্র নিষ্ক্রিয় আর মৃত্যু। খরগোশের টিসু আর দেহযন্ত্রে থেকে যায় ক্ষত। আর অন্তঃরক্তক্ষরণ ও মৃত্যু। ভাইরাস নির্মূল দুঃসাধ্য আর প্রাণীর সংক্রমণ দৃশ্যমান হয় মৃত্যুর পর।

মৃত্যুর পর খরগোশের নাসাপথে বেরোয় রক্ত মাখা তরল। বিজ্ঞানীরা বলেন এই ভাইরাস সঙ্ক্রমন করতে পারেনা মানুষ বা অন্য প্রাণী। পশুবিদরা বলেন এই প্রাদুর্ভাব হয়েছে এক খুব কার্যকর আর অতি ছোঁয়াচে ভাইরাসের দ্বারা। রক্ত-মলমূত্রের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস।

প্রাণী দেহে সুপ্তিকাল ৩ দিন। এরপর কিছু খরগোশের ক্ষুধা আর শক্তি হানি ঘটতে থাকে। মৃত্যুর আগে অনেকের হয়না কোন উপসর্গ। যকৃৎ আর প্লীহা বিকল হবার পর রক্ত তঞ্চন বন্ধ হয়ে যায়। যারা বেঁচে যায় এরা ভাইরাস ছড়াতে থাকে ২ মাস।

ভাইরাস বধ দুঃসাধ্য। গৃহতাপে বেঁচে থাকে ৩ মাস। ১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে বাঁচে ১ ঘণ্টা। হিমায়িত করে নিধন সম্ভব না। মেক্সিকোতে ৪ মাসে মরেছে ৫০০ প্রানি। কোথা থেকে এল এই ভাইরাস কেউ জানিনা। একই ভাইরাসের ভেরিয়েন্ট আগে দেখা গেছে। ৩৫ বছর আগে চীনে।

Prof Dr Subhagata Choudhury

Ex Principal Chittagong Medical College
Ex Dean Medicine, Chittagong University
Ex Director, Lab Service, BIRDEM

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.