চক্ষু মার্জনা (চোখ ঘষা ঘষি )হতে পারে বিপজ্জনক। অনেকে অভ্যাস চোখ ঘষা। এর গুরুতর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে দৃষ্টিশক্তির উপর। হতে পারে তা প্রতিবর্ত্ম ক্রিয়া বা অভ্যাস । চুলকানির অনুভূতি হতে পারে চোখের সঙ্ক্রমণ , অ্যালার্জি বা অন্য কারনে । এরকম ঘষা পরিহার করা উচিত কারন জোরে ঘষলে হতে পারে চোখের ক্ষতি ।ক্ষতি হতে পারে চোখের লেন্স বা কর্নিয়াতে । এতে দৃষ্টি শক্তি খর্ব হওয়া বা এমন কোন সংক্রমণ যে জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ আর চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে । নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য চোখ ঘষতে প্রবৃত্ত হতে পারেন । কারো কারো এলারজি থাকলে চুলকানি হয় চোখে । চোখ ঘষার প্রবল আগ্রহ হয় তাদের । দেখা গেছে অ্যালার্জেন এর মুখামুখি হয়ে চোখ ঘষলে আর আরও বেশি ঘষবার অনভুতি সৃষ্টি করে । যাদের অ্যালার্জি এদের চোখ দিয়ে জল পড়ে আর নাক দিয়েও জল ঝরে ।অনেকের বিশেষ ঋতুতে পরাগ রেণুর জন্য অ্যালার্জি হয় । অনেকে অ্যালার্জি হয় বিশেষ খাদ্যে , পোষা প্রাণী , পোকার দংশন আর কিছু ওষুধে ।
চোখ চুলকানির একটি সাধারণ কারন কনজানকটিভাইটিস বা নেত্র বর্ত্ম প্রদাহ (Pink eye) হাতের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণে হতে পারে । আঙ্গুল দিয়ে চোখ ছুঁলে সংক্রমণ হয় । ব্যথা হলনা কিন্তু নেত্র বর্ত্ম প্রদাহে চুলকানি হল আর প্রবল চুলকানির ইচ্ছা জাগে ।
এটি খুব ছোঁয়াচে আর ছড়ায় সহজে সক্রমিত কারো সংস্পর্শে এলে ।
যে কারনে চুলকানি হচ্ছে এর চিকিৎসা হলে চুলকানির ইচ্ছা কমে । স্যালাইন বা আই ড্রপ পরিষ্কার করে চোখ । টিয়ারস সহজে পাওয়া যায় ফার্মেসিতে। চোখে মল ময়লা থাকলে বেরিয়ে যায় । নেত্র বর্ত্ম চিকিৎসার ওষুধ দেবেন চোখের ডাক্তার ।জাদের অ্যালার্জি তাদের জন্য আছে শট বা ওষুধ । চোখের উপর গরম ভাপ বা পত্তি দিতে আসে উপশম । চোখ ঘষা অভ্যাস হয়ে গেলে নিজে সতর্ক হতে হবে হাত দিয়ে কি করছেন । এই আগ্রহ সংযত করতে হবে । আঙ্গুল চোখে দেওয়া বারন করতে অসমর্থ হলে হাতে গ্লভস পরতে পারেন ।