খুব সম্প্রতি ব্রিটেন, প্রচলিত পরামর্শ মত ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার ফারাক কমিয়ে এনেছে ১ মিটারে। আমেরিকা ১.৮ মিটার নীতিতে চলছে। অনেক দেশ ১ মিটার দূরত্ব বজায় মেনে চলছে। তাহলে? কে আবিষ্কার করলেন সোশ্যাল ডিস্টেনসিং?
অতীত ঘেঁটে দেখা গেল ১৯৩০ সালের এক গবেষণা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সংক্রামক রোগ যেমন যক্ষ্মা নিয়ে গবেষণা করছিলেন উইলিয়াম এফ ওয়েলস। তিনি দেখলেন মুখ নিঃসৃত ড্রপলেট গুলো ১-২ মিটার দূর পর্যন্ত ভুমিতে পতিত হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে গবেষণা, যাতে নাক আর মুখ থেকে নিঃসৃত ড্রপলেট একই নিয়ম অনুসরণ করে।
বিজ্ঞানীরা কি বলেন? সহজ যুক্তি, বলেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা। যত দূরে থাকবেন সংক্রমণের মুখোমুখি হবার ঝুঁকি থাকবে কম। ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনাথন রিড বলেন এক মিটার দূরে থাকলে বড় বড় ড্রপলেট থেকে রক্ষা পাবেন। দুই মিটার দুরে থাকলে ঝুঁকি আরও কমবে তবে শূন্য ঝুঁকি এমন বলা যাবে না।
বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে এক মিটার দূরত্ব বিধানে সংক্রমণের ঝুঁকি ১৩ শতাংশ। ৩ মিটার পর্যন্ত এক এক মিটার দূরে থাকলে ঝুঁকি ৫০ শতাংশ করে কমে আসে। আমরা যদি সবাই ঘরের বাহিরে মাস্ক পরি আর অন্তত ১ মিটার দূরে দূরে থাকি তাহলেও সংক্রমণ অনেক কমবে।