গভীর ঘুমের সময় শরীর দুটো গুরুত্বপূর্ণ নিরাময় পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়: NERM আর REM নিদ্রা।
আমরা যখন নিদ্রা যাই তখন মগজ কাজকর্মের স্বাভাবিক চক্রের মধ্যে চলে। মোট চার ধাপে নিদ্রা আবর্তিত। এদের দুটো পর্যায়।
১। NERM (Non-rapid eye movement) ২। REM (Rapid Eye Movement) নিদ্রা।
১। NERM (Non-rapid eye movement) নিদ্রা
NERM প্রথমে হয়। এ পর্যায়ে অক্ষি সঞ্চালন দ্রুত হয় না ( Non-rapid Eye Movement, NERM )
এর আছে তিনটি ধাপ
প্রথম ধাপ হাল্কা ঘুম ৫-১০ মিনিট। চোখ বন্ধ কিন্তু সহজে জাগানো যায় ।
এরপরের ধাপেও হাল্কা ঘুম পেশি শিথিল, চোখের নড়া চড়া চলে না। হার্টের হার ধীর আর তাপ মান কমে। ১০-২৫ মিনিট শরীর তৈরি হয় গভীর ঘুমের জন্য।
তৃতীয় পর্যায় গভীর ঘুম। এ সময় জাগ্রত করা কঠিন । শরীরের হয় নবায়ন আর ক্ষয়পূরণ। বয়স হলে গভীর ঘুম কমে।
NERM নিদ্রার সময় আগে সাক্ষাৎ হওয়া জীবাণুর স্মৃতি জোরালো করে আর ইমিউন সিস্টেম হয় শক্তিশালী।
২। REM (Rapid Eye Movement) নিদ্রা
ঘুমাবার ৯০ মিনিট পর এর সূচনা। মগজের কাজকর্ম শুরু বাড়ে । মানে ঘুম এত গভীর নয়। এক-দেড় ঘণ্টা। এসময় বেশ স্বপ্ন দেখা হয়। REM নিদ্রার সময় শরীর দিনে দেখা বা অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন আঘাতের ব্যাপারে সমাধান করে।
মান সম্মত REM ঘুম না হলে হতে পারে:
১। লেপটিনের উচ্চমাত্রা। এর ফলে শরীরকে চর্বি জমা করার পর্যায়ে নিয়ে যায় হতে পারে স্থুলতা।
২। স্মৃতি আর বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা
৩। অমীমাংসিত আঘাত।
তাই প্রতি রাতে গভীর সঞ্জীবনী নিদ্রায় না যদি যান তাহলে নানা হেলথ ইসু হতে পারে। গভীর ঘুম না হলে রাতে, মগজের নৈশকালীন পরিশুদ্ধি ব্যহত হয়।
১। প্রতি রাতে গভীর রেম স্লিপ কালে মগজ সঙ্কুচিত হয় আর সেরেব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড দিয়ে মগজ ধৌত হয়। বর্জ্য ধুয়ে চলে যায় লিম্ফেটিক নালি রসের মাধ্যমে প্রান্তিক লিম্ফেটিক নালিতে।
২। লিম্ফেটিক সিস্টেম কেবল কাজ করে গভীর রেম স্লিপের সময়। এ সময় মগজ ৬০% সঙ্কুচিত হয় যাতে লিম্ফেটিক সিস্টেম ঠিক ঠাক কাজ করতে পারে আর বর্জ্যকে বের করে নিয়ে যেতে পারে মগজের বাইরে।
৩। গভীর রেম স্লিপের সময় লিম্ফেটিক সিস্টেম নিউরনে নিয়ে আসে পুষ্টি উপকরণ।
৪। সঠিক লিম্ফেটিক প্রবাহ থাকলে স্নায়ুবিক অবক্ষয় আর রোগ দূরে থাকে। মগজের বিশুদ্ধি করণ আর বিষমুক্ত হলে জীবনের জন্য তা হিতকর।