অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবন করেছে একটি ভ্যাকসিন যা ইমিউন রেসপন্স সৃষ্টি করে। শিম্পাঞ্জিতে সাধারন ঠাণ্ডা লাগা করে যে ভাইরাস একে জীন কারিগরি করে তৈরি হয়েছে এই ভ্যাকসিন। নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রামক স্পাইক প্রোটিন কোড করে যে জীন নির্দেশ একে যোগ করা হয়। তাই দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম শিখে যায় করোনা ভাইরাস সমরূপ অনুপ্রবেশকারি দেহে এলে একে আক্রমন করতে হবে। একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর ৯১ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর শরীরে তৈরি হল এন্টিবডি যা করোনা ভাইরাস নিউট্রেলাইজ করল। দ্বিতীয় মাত্রা দেওয়ার পর শতভাগ অংশ গ্রহনকারীর দেহে তৈরি হল নিউট্রেলাইজিং এন্টিবডি। হিউমেন ট্রায়েলের প্রথম পর্যায়ে ১৮-৫৫ বছর বয়সী সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
তবে এখনও জানা নাই এই ভ্যাকসিন দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা দেবে কিনা। প্রথম দিকের ট্রায়ালে এন্টিবডি পরিমাপ করা হয়েছে রক্তে।
পরবর্তী পর্যায়ে যে সমস্ত দেশে সংক্রমণ হার বেশি সেসব দেশের সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবির উপর তা প্রয়োগ করে দেখা হবে। সেসব দেশের অংশ গ্রহণকারীরা স্বাভাবিকভাবে ভাইরাসের অধিক মুখামুখি হন। তখন গবেষকরা দেখতে পারবেন ভ্যাকসিনটি স্বাভাবিক সংক্রমণ আর ইমিউনিটির অনুকৃতি হতে পারে কি না বা মিমিক করতে পারঙ্গম কি না।
অংশগ্রহণকারী কারোরই বিপজ্জনক কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি তবে ৭০ শতাংশের ব্যথা বেদনা আর সামান্য অবসাদ হয়েছিল।
পরবর্তী ট্রায়াল সফল হলে আরও কয়েক মাস লাগবে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হতে। তবে ইতিমধ্যে সহায়ক কোম্পানি আস্ত্রা জেনেকা ইতিমধ্যে অনেক উচ্চ পরিমান মাত্রা তৈরি করেছে। তাই নিরাপদ ভ্যাকসিন হিসাবে পরিগনিত হওয়া মাত্র ব্যাপক ভ্যাক্সিনেশন সম্ভব হবে। আরও কয়েকটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে করোনা ভাইরাস এন্টিবডি সৃষ্টির খবর মিলেছে। যেমন মডারনা, বাইওন টেক, ফাইজার অ্যামেরিকায় আর চিনেও আরেকটি। বিশ্বে ২৩ টি করোনা ভ্যাকসিন উদ্যোগ এ পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল পর্যায়ে আছে। আরও ১৪০ টি প্রস্তুত হচ্ছে। অতিমারি ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা একমনে একযোগে এই উদ্যোগে আছেন।
সূত্র: ল্যানসেট