মূত্র ধারণ অক্ষমতায় করণীয় / টয়লেট

প্রস্রাব কী বলে স্বাস্থ্য সম্বন্ধে?

প্রস্রাবের রঙ আর এর স্বচ্ছতা / অস্বচ্ছতা দেখে ডাক্তার কিছু বলতে পারেন স্বাস্থ্য সম্বন্ধে তবে এর বিশ্লেষণ করলে আরও অনেক কিছু বলা যায় ।
১। প্রস্রাবে যায় রক্ত
তাহলে অবিলম্বে কথা বলুন ডাক্তারের সাথে। হতে পারে নির্দোষ , বা বেশি ব্যায়াম বা ওষুধের জন্য। আবার দেখা ভাল । হতে পারে কিডনি রোগ , ব্লাডার ক্যন্সার বা প্রোস্টেট , মুত্র নালির সঙ্ক্রমন বা যৌন সংক্রমণ । সাব ধানের মার নাই।
২। আরও ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ
কিছু খাবার বদলায় প্রস্রাবের রঙ। বিট খেলে প্রস্রাব হতে পারে লালচে বা গাড় বাদামি । গাজর খেলে কমলা , রঙ, , রঙ অসবাভাবিক হলে ডাক্তারকে বলা ভাল ।
৩। শুকে পান কি গন্ধ ?
খাবার , ওষুধ ভিটামিন সব বদলাতে পারে প্রস্রাবের গন্ধ । কড়া গন্ধ হতে পারে পানি পান না করলে বা ভিটামিন বি ৬ খেলে। তবে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস , লিভারের অসুখ , কিডনির অসুখ সব কিছুতে বদলাতে পারে গন্ধ।
৪। মুত্রনালি সংক্রমণ ।
প্রস্রাব হতে পারে লালচে বা বাদামি বা সবজে রঙ আর কড়া গন্ধ ।
ঘোলাটে । রোগ ীবাণু সঙ্ক্রমন হয়েছে হয়ত মুত্রাশয় বা মুত্রপথে যে নল প্রস্রাব নিয়ে আসে বাইরে। প্রস্রাবের সময় জ্বলুনি । হবে প্রস্রাব পরীক্ষা এর পর কালচার সেন্সিটি ভিটি এর পর দেবেন প্রয়োজনে এনটি বায়টিক ।
৫। রক্তে উচ্চ মাত্রা সুগার
রক্তে উচ্চ মাত্রা গ্লুকোজ ১০০ মিলিলিটারে ১৮০ মিলিগ্রামের বেশি হলে প্রস্রাবে যায় গ্লুকোজ । এ হল ডায়াবেটিসের কারনে। ডাক্তারটেস্ট রেইবলতে পারেন একটি স্ট্রিপ দিয়ে করা যায় টেস্ট । এর চিকিৎসা না হলে আগামিতে হতে পারে কিদনির রোগ হার্ট টাক , স্ট্রোক অনেক রোগ ।
৬। ডায়াবেটিস ।
আরও সমস্যা বেশি হলে হতে পারে রক্তে আর প্রস্রাবে কি টোন । এমন হলে একে বলে ডায়াবেটিক কিটো এসিডো সিস । এ হল মেডিক্যাল ইমারজেন্সি ।
৭। পানি শুন্যতা।
প্রস্রাবের রঙ কড়া হলে বোঝা গেল পানি শূন্যতা , প্রস্রাব কমে গেছে ।
এ ছাড়া হতে পারে ক্লান্তি , বমি ভাব আর পা টল মলে । প্রস্রাবের ঘনত্ব টেস্ট করেন ডাক্তার ।
৮। গর্ভ সঞ্চার ।\
একটি টেস্ট স্ট্রিপ দিয়ে টেস্ট করে জানা যাবে গর্ভ সঞ্চার হয়েছে কি না । একটি হরমোন ( এইচ সি জি , হিউম্যান করিওনিক গোনা ডট্রপিক হরমন) এর প্রস্রাবের নমুনায় উপস্থিতি নির্দেশ করে গর্ভ সঞ্চার । মিসড পিরিয়ডের ৫-১০ দিন পর ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
৯। ডায়াবেটিক কিডনি রোগ ।
ফেনা ফেনা প্রস্রাব হলে বোঝা গেল প্রস্রাবে প্রোটিন আছে। কিডনি রোগের আগাম চিহ্ন ।কিডনির সূক্ষ্ম রক্ত নালী হয় ক্ষতি গ্রস্ত । এতে বেসি সলিড , পানি আর বর্জ্য থেকে যায় দেহে ।
১০। গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস ।
এতে হতে পারে রক্তাভ আর ফেনা প্রস্রাব। মুখ আর গোড়ালি যেতে পারে ফুলে। পেশি খিচুনি আর ত্বকে চুল্কানি । কিডনির সুক্ষ্ম ফিল্টার প্রদাহ হলে হয়। তরল আর বর্জ্য জমা হয় দেহে , হয় উচ্চ রক্ত চাপ আর কিডনি বিকল। হতে পারে সঙ্ক্রমন বা অটো ইম্মুনিটি হলে,
১১। ভাস্কুলাই টিস।
কিডনি আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের হয় চা রঙ, আর সাথে জ্বর আর গায়ে ব্যাথা। শরীরের এন টি বডি যা রোগ ীবাণু ঠেকানর জন্য দেহে তৈরি হয় এরা যদি নিজ দেহের রক্ত নালির উপর প্রভাব ফেলে তখন প্রস্রাবে যায় রক্ত আর প্রোটিন আর এর পর কিডনি হতে পারে নিষ্ক্রিয় ,
১২। মুত্র অবরোধ
প্রস্রাবে যাচ্ছেন না তেমন বা গেলেও প্রস্রাবের পর মনে হয় পুরো খালাস হ লনা তাহলে বুঝতে হবে কিছু একটা আটকাচ্ছে প্রস্রাব। প্রস্রাবে যেতে পারে রক্ত বা ঘোলাটে প্রস্রাব। অবরোধ হতে পারে বেড়ে যাওয়া প্রোস্টেট , মুত্রাশয় ক্যান্সার , মুত্র পথে সঙ্কীর্ণতা কিডনি পাথুরি।
১৩। কিডনি পাথুরি,
কিছু খনিজ জমে হয় পাথুরি মুত্র গ্রন্থি বা নালিতে তখন প্রস্রাব পরিক্ষা সঙ্ক্রমন আছে কিনা আছে কিনা রক্ত , ক্যালসিয়াম। এসব এর পর বিধি ব্যবস্থা।
১৪। লুপাস ।
দেহের ইম্মুন সিস্টেম যখন ভুল ক্রমে আক্রমন করে কোন অং তখন হয় এমন । কিডনি আক্রান্ত হলে রক্তাভ বা ফেনা প্রস্রাব। নারিদের হয় বেশি আছে চিকিৎসা তবে নিরাময় নাই।
১৫। লিভার আর গল ব্লাডার সমস্যা ।
প্রস্রাব খুব গাড় , কিছু কারন আছে হতে পারে এসি টো এমিন ফেন / টাইলে নল বেশি গ্রহনের জন্য। ক্যান্সার । পিত্ত নালি অবরোধ কারি পাথুরি, হেপা টাইটিস ভাইরাস। তখন শরীর অনেক বিলিরুবিন তৈরি অরে আর প্রস্রাব হয় গাড় বর্ণ ত্বক চোখ হতে পারে হলুদ। একে বলে জন্ডিস ।

Prof Dr Subhagata Choudhury

Ex Principal Chittagong Medical College
Ex Dean Medicine, Chittagong University
Ex Director, Lab Service, BIRDEM

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.